Thursday, August 17, 2017

দরূদ শরীফের ফযীলত

দরূদ শরীফের ফযীলত "

নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত (সাঃ) ইরশাদ করেন: “যে আমার প্রতি একবার দরূদ শরীফ পাঠ করলো, আল্লাহ্ তাআলা তার প্রতি দশটি রহমত অবতীর্ণ করেন এবং যে আমার প্রতি দশ বার দরূদ শরীফ পাঠ করলো, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর একশটি রহমত অবতীর্ণ করেন এবং যে আমার প্রতি একশবার দরূদ পাক পাঠ করলো, আল্লাহ্ তাআলা তার দু’চোখের মাঝখানে লিখে দেন যে, এই বান্দা কপটতা এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত এবং কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা তাকে শহীদদের সাথে রাখবেন।”
  (মু’জাম আওসাত, ৫ম খন্ড, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২৭৩৫)
উন পর দুরূদ জিন কো কাসে বেকাসাঁ কাহেঁ, উন পর সালাম জিন কো খবর বে খবর কি হে।   চরণটির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা (সাঃ)এর প্রতি অসংখ্য দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক, যিনি নিরাশ্রয়ের আশ্রয়স্থল এবং তাঁর সকল উদাসীনদেরও সংবাদ রয়েছে। 

Wednesday, August 16, 2017

হাতেম তাইয়ের দানশীলতা

হযরত সায়্যিদুনা মিলহান তায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিত: হাতেম তাইয়ের স্ত্রী তার দানশীলতার একটি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: একদা সারা দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। ঐ সময় একেবারে শষ্য উৎপাদন হয়নি, আসমান থেকে সারা বৎসর বৃষ্টিপাত হয়নি। উটগুলো সারা দিন পানির সন্ধানে ঘুরাঘুরি করতঃ কিন্তু একটি ফোটা পানিও তাদের নসীব হতো না। প্রত্যেক প্রাণী ক্ষুধা এবং পিপাসায় অস্থির ছিলো। এক রাতে বেশি পরিমাণে ঠান্ডা পড়েছিলো এবং আমার ঘরে খাওয়ার প্রতিবেশীর হক  ৪ জন্য একটি লোকমা খাবারও ছিলো না। আমাদের সন্তান আব্দুল্লাহ্, আদী এবং (একমাত্র কন্যা) সিফ্ফানা ক্ষুধায় ছটফট করছিলো। অবশেষে দীর্ঘ রাত অতিবাহিত হওয়ার পর ক্লান্ত হয়ে দুই ছেলে ঘুমিয়ে পড়লো, আমি তাদেরকে একটি চাটাইয়ে শুয়ায়ে দিলাম। অতঃপর তৃতীয় জনকে ভুলাতে লাগলাম অবশেষে সেও ঘুমিয়ে পড়লো। হাতেম তাই বললো: আজ আমি জানি না আমার কেন ঘুম আসছে না? অতঃপর তিনি এদিক সেদিক টহল দিতে লাগলো। হঠাৎ আমাদের ঘরের বাহিরে কারও আওয়াজ শুনা গেলো। হাতেম তাই উচ্চ আওয়াজে বললো: কে? কিন্তু কেউ উত্তর দেয়নি। আমি বাহিরে গেলাম এবং অবস্থার খবরাখবর নিয়ে ফিরে আসলাম এবং হাতেম তাইকে বললাম: আপনার অমুক প্রতিবেশীনী। এই কঠিন সময়ে আপনি ছাড়া অন্য কেউ তার দৃষ্টিতে পড়েনি, যার কাছে সে আশ্রয় নিবে। নিজের ক্ষুধার্ত বাচ্চাকে আপনার কাছে এনেছে। তার ক্ষুধায় এমনভাবে ছটফট করছে যেমন কোন প্রাণীর বাচ্চা চিৎকার করে থাকে। এটা শুনে হাতেম তাই বললো: তাদেরকে তাড়াতাড়ি আমার কাছে নিয়ে আসো, আমি বললাম: আমাদের নিজেদের সন্তান ক্ষুধায় মরছে, তাদেরকে দেয়ার জন্য আমাদের কাছে কোন কিছু নেই, আর অমুক প্রতিবেশী এবং তাদের সন্তানকে আমরা কিভাবে সাহায্য করবো? হাতেম তাই বললো: চুপ থাকো! আল্লাহ্ তায়ালা অবশ্যই তোমাদের এবং তাদের সকলের পেট ভর্তি করে দিবেন। যাও! তাড়াতাড়ি সেই দুঃখী মাকে ভিতরে ডেকে নিয়ে আসো। আমি তাকে ডেকে নিয়ে আসলাম। সেই গরীব মহিলা দুইটি সন্তান তার কোলের মধ্যে উঠানো ছিলো এবং ৪টি সন্তান তার পিছনে আসছিলো। হাতেম তাই তাদেরকে কক্ষের মধ্যে বসালেন এবং নিজের একটি মোটাতাজা প্রাণী যবেহ করে আগুন জ্বালালেন, যখন আগুনের শিখা উঠতে লাগলো, তখন ছুরি নিয়ে সেটার চামড়া তুলে ফেললো। অতঃপর ঐ মহিলার দিকে ছুরি বাড়িয়ে বললো: খাও! এবং নিজের সন্তানদেরকেও খাওয়াও, অতঃপর আমাকে বললো: তুমিও খাও এবং সন্তানদেরকেও জাগ্রত করে দাও, যেন তারাও তাদের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে। আমাদের প্রতিবেশীনী অল্প অল্প করে মাংস খাচ্ছিলো, তার সংকোচ বোধ লক্ষ্য করে হাতেম তাই বললো: কতই মন্দ কথা যে, তোমরা আমাদের মেহমান হয়ে অল্প অল্প করে খাচ্ছো। এটা বলে সে আমাদের কাছে টহল দিতে লাগলো, আমরা সবাই ৫ খাবারের মধ্যে ব্যস্ত ছিলাম এবং হাতেম তাই আমাদের দিকে তাকাচ্ছিলো এবং আমরা খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি। কিন্তু আল্লাহ্ তায়ালার শপথ! হাতেম তাই একটি মাংসের টুকরা পর্যন্ত খায়নি। অথচ তিনি আমাদের সবার চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত ছিলেন। সকালে জমিনে হাড্ডি এবং পায়ের গোড়ালি ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট ছিলো না।
(উয়ুনূল হিকায়াত, ২/২৪০, সারাংশ)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বর্ণিত উপদেশ মূলক ঘটনা থেকে কয়েকটি মাদানী ফুল আমাদের জানা হয়ে গেছে, উদাহরণস্বরূপ:- পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে প্রতিবেশীর মঙ্গল কামনা এবং তাদের কষ্টের অনুভূতি কি পরিমাণ ভরা ছিলো। হাতেম তাই যাকে জাহেলী যুগে দানশীলতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রসিদ্ধ মনে করা হতো। বিশেষ করে তার প্রতিবেশীদের উপর অনেক দয়ালু ছিলো। তার সত্যিকারের মঙ্গল কামনা এবং অভাবী প্রতিবেশীদের তিনি আশ্রয়স্থল ছিলো। যখন তার প্রতিবেশীর মধ্যে কেউ কষ্টে পতিত হতো, তখন তার রাতের ঘুম চলে যেতো এবং তার উপর ব্যাকুল অবস্থা জারী হতো। এই ঘটনা দ্বারা বুঝা গেলো, প্রতিবেশীদের সাথে উত্তম আচরণ করা প্রাচীন যুগ হতে মানুষের মধ্যে প্রচলিত ছিলো। অতঃপর যখন ইসলামের সূর্য উদিত হলো, তখন এই আন্তর্জাতিক ধর্ম এবং বান্দার অধিকারের সবচেয়ে বড় পতাকাধারী ধর্ম প্রতিবেশীর অধিকার সমূহের গুরুত্ব আরো অনেক বাড়িয়ে দিলো। অতএব ইসলাম ধর্মের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারীরা, আল্লাহ্ তায়ালার বিধিবিধানের সামনে মাথা নতকারীরা, মুস্তফা জানে রহমত, হুযুর (স‌াঃ)এর আশিকগণ তাদের কথাবার্তা, কাজ-কর্মের মাধ্যমে প্রতিবেশীর অধিকার আদায় করা এবং তাদের সাথে উত্তম আচরণ করার সেই মহান উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়েছেন যে, যাদের দৃষ্টান্ত বিশ্বের ইতিহাসের মধ্যে পাওয়া কঠিন।  আসুন! উৎসাহ গ্রহণার্থে প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণের উপর একটি ঈমান তাজাকারী ঘটনা শুনে নিই এবং উপদেশের মাদানী ফুল গ্রহণ করি; যেমনিভাবে-
একজন প্রতিবেশীর তাওবা  হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ্ বিন রজাআ  (রাঃ) বলেন: কুফায় ইমাম আযম আবু হানীফা (রাঃ) এর প্রতিবেশীর মধ্যে একজন মুচী থাকতো। যে সারা দিন পরিশ্রম করতো এবং রাতে ঘরের মধ্যে মাছ অথবা (কোন প্রাণীর) মাংস নিয়ে আসতো, অতঃপর সেগুলো বুনে খেতো। এর পর মদ পান করতো। যখন মদের নেশায় মাতাল হয়ে যেতো, তখন খুব চিৎকার করতো। এভাবে গভীর রাত পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকতো, এমন কি তার ঘুম চলে আসতো। কোটি কোটি হানাফীদের মহান ইমাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম আযম আবু হানীফ  (রাঃ) এর সেই চিৎকারের কারণে সীমাহীন কষ্ট হতো। কিন্তু তিনি সারারাত নামাযের মধ্যে ব্যস্ত থাকতেন। এক রাতে সেই প্রতিবেশী মুচীর আওয়াজ শুনেন নাই, সকাল বেলা তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তাঁকে বলা হলো; রাতে সিপাহীরা তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে আর সে জেলখানায়। ইমাম আযম (রাঃ) ফজরের নামায আদায় করলেন এবং তাঁর বাহনের উপর আরোহণ করে খলীফার কাছে গেলেন, আর নিজের আসার খবরটা খলীফার কাছে পাঠালেন। খলীফা হুকুম দিলেন, তাঁর বাহনের লাগাম ধরে অত্যন্ত সম্মানের সাথে শাহী গালিচা পর্যন্ত নিয়ে আসো এবং তাঁকে বাহন হতে অবতরণ করতে দিবে না। সিপাহীরা সেভাবেই করলো। খলীফা জিজ্ঞাসা করলো: কি হুকুম? তিনি বললেন: আমার একজন প্রতিবেশী মুচী ছিলো, যাকে গত রাতে সিপাহীরা গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে, তার মুক্তির হুকুম দিন। খলীফা আদেশ জারী করলো যে, ঐ মুচীকে তাড়াতাড়ি মুক্ত করে দাও এবং ঐসব কয়েদীদেরকেও মুক্ত করে দাও যাদেরকে আজকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। অতএব সকলকে মুক্ত করে দেয়া হলো।  অতঃপর ইমাম আযম (রাঃ) বাহনের উপর আরোহণ করে পথ চলা শুরু করলেন। সেই প্রতিবেশী তাঁর পিছনে পিছনে চলতে লাগলো, তখন ইমাম আযম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন: হে যুবক! আমি কি তোমাকে কোন কষ্ট দিয়েছি? সে আরয করলো: না বরং আপনি আমাকে সাহায্য করেছেন এবং আমার জন্য সুপারিশ করেছেন। আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুক। কেননা, আপনি প্রতিবেশীর সম্মান এবং অধিকারকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এর পরে সেই ব্যক্তি তাওবা করে নিলো এবং গুনাহ থেকে ফিরে আসলো।  (মানাকিবে ইমাম আযম, ২২৪,২২৫ পৃষ্ঠা) 

Monday, July 31, 2017

ভৈরবে দূর্ঘটনায় হবিগঞ্জের দিগন্ত ॥ বাস চালক-হেলপারের মর্মান্তিক মৃত্যু

আজিজুল ইসলাম ॥

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবে  নীলকুটি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় হবিগঞ্জের বাস চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।  হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে । গতকাল সন্ধ্যা ৭ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্র জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে যাত্রীবাহি দিগন্ত বাস হবিগঞ্জের আসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের নীলকুটি এলাকায় পৌছলে ওই বাসের চাকা পাংচার হয়। এতে চালক মুহিত চৌধুরী (৫০) ও হেলপার সাদেক মিয়া (৩৫) বাসের চাকা মেরামতের চেষ্টা করেন। এ সময়   বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি প্রাইভেটকার তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাস চালক মুহিত চৌধুরী মারা যান এবং হেলপার সাদেক মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়। খবর পেয়ে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার হাইওয়ে পুলিশের এসআই মারফত ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে এবং নিহতদের পরিবারকে খবর দেয়। পরে নিহতদের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছলে হাইওয়ে পুলিশ লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করে।  এদিকে, এ দুর্ঘটনার খবর শুনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের বুক ফাটা আর্তনাদে আকাশ ভারী হয়ে উঠছে।

Saturday, July 29, 2017

চুনারুঘাটে মাছ ধরতে গিয়ে সাপের কামড়ে যুবতীর মৃত্যু

জিয়া ॥
চুনারুঘাট উপজেলার রহিমপুর গ্রামে বিষধর সাপের কামড়ে সুলতানা আক্তার (২০) নামে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে দিকে রহিমপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। সে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের কন্যা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে সুলতানা আক্তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি নালায় মাছ ধরতে যায়। তখন বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। সাপের কামড় দেয়ার পর সে ছটপট করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে দ্রুত চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করে দেন। পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুলতানা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। সুলতানা আক্তারের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শহরে আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকবে

জিয়া ॥
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ শহরে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গতকাল শুক্রবার বিকালে বিদ্যুত অফিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিদ্যুত অফিস জানায়, হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৩৩ হাজার কেভির লাইনসহ বিভিন্ন লাইনে গাছের ডাল পড়ে থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনাসহ তার ছিড়ে যায়। এ কারণে আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তারের উপর থেকে গাছের ডাল কাটা হবে। তবে কাজ শেষ হয়ে গেলে এর আগেও বিদ্যুত আসতে পারে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলি শামছ ই আরেফীন জানান, লাইন মেরামতের কারণে এ সংযোগ বন্ধ রাখা হবে।

Friday, July 28, 2017

বানিয়াচং পুলিশের বিশেষ অভিযান ॥ ১১০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার ॥ ডাকাতসহ এক রাতেই আটক ১০ ॥ ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার ছোট ভাই জাহির ইয়াবাসহ গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য আশিক মিয়ার ছোট ভাই জাহির মিয়া (২৫) কে ১১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার মধ্যরাতে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জাহির উপজেলার নয়া পাথারিয়া গ্রামের আবদুর রউফের পুত্র। গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার অপারেশন কর্মকর্তা এস.আই ওমর ফারুক। পুলিশ সূত্র জানায়, জাহিরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পথে তার ভাই জেলা পরিষদ সদস্য আশিক মিয়াসহ আত্মীয়-স্বজনরা বাঁধা দেন। খবর পেয়ে থানার এস.আই ফিরোজ, রাজিব, নাজমুলের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে গ্রেফতারকৃত জাহিরকে থানায় নিয়ে আসে। সূত্র জানায়, একই অভিযানে আরও ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হল, উপজেলার তিতখাই গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মিয়ার পুত্র ফজল শাহ (৩৮), আনন্দপুর গ্রামের মৃত ইউছুফ উল্লাহর পুত্র রহমত উল্লা (৫০), হিয়ালা গ্রামের সুন্দর আলীর পুত্র রুবেল মিয়া (২৬), নয়া পাথারিয়ার আলাই মিয়ার পুত্র সাজিদ মিয়া (১৯), একই গ্রামের আব্দুর রউফ খানের পুত্র তাহির খান (২২), সাঙ্গর গ্রামের আজগর আলীর পুত্র রাসেল মিয়া (৩০), নখলার আব্দা গ্রামের মৃত আদম আলীর পুত্র সমরাজ মিয়া (৩৮) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড় বহুলার লাল মিয়ার পুত্র আজমান আলী (৩৬)। এছাড়াও একই রাতে পৃথক অভিযানে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের তারাসই গ্রামের শাহআলম মিয়ার পুত্র কুখ্যাত ডাকাত রাহাত মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বানিয়াচং-শিবপাশা রোডের আঞ্জইন নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাহিরকে  গ্রেফতার করা হয়। এ সময় জাহিরের কাছ থেকে ১১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। পরে এস.আই রাজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জাহিরসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওসি জানান, বানিয়াচংকে মাদকমুক্ত করতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Saturday, June 17, 2017

ধুলিয়াখালে ৩টি চোরাই প্রাইভেটকারসহ গাড়িচোর চক্রের তিন সদস্য আটক




হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখাল এলাকা থেকে ৩টি চোরাই প্রাইভেটকারসহ গাড়িচোর চক্রের সদস্যকে আটক করেছে ্যাব- শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অভিযানিক দল। আটককৃতরা হলো শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ ওরফে লুকাই ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলু (২৮), ধুলিয়াখালের মৃত ছুরত আলীর ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (৩৫), সদর উপজেলার আলাপুর গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম (৩০) ্যাব জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-, সিপিসি-, শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ রোডের ধুলিয়াখাল বাজার এলাকা থেকে ৩টি চোরাই প্রাইভেট কারসহ গাড়িচোর চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ্যাব তাদের কাছ থেকে জানতে পারে, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা লোকচক্ষুর অন্তরালে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি চুরি করে ক্রয়-বিক্রয় করে। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন দিলু বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের হবিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ্যাব- শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি অপরাধ দমন, অবৈধ  অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন, অপরাধীকে গ্রেফতার, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মানব পাঁচারকারী গ্রেফতার ভিকটিম উদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কবির কলেজিয়েট একাডেমির নবগঠিত গভর্ণিং বডির প্রথম সভা

কবির কলেজিয়েট একাডেমির নবগঠিত গভর্ণিং বডির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভর্ণিং বডির সভাপতি আলেয়া আক্তার-এর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য কবির কলেজের উপদেষ্টা আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির। সময় উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত কমিটির সদস্য শোয়াইব আহমদ চৌধুরী, কামরুল হাসান, অন্তরা মোদক, মোঃ আরজু মিয়া, হাজীর মোঃ জমির উদ্দিন, মোঃ গহর আলী, মোস্তফা রেজাউল হক, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সদস্য সচিব মোঃ জালাল উদ্দিন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইদ্রিছ মিয়া, আকবর হোসেন, আব্দুল মতলিব, সৈয়দা মাহমুদা খাতুন, নাহিদা আক্তার, সুকেশ দেব, মোঃ শাহিন মিয়া মরতুজ আলী। কলেজের নবগঠিত সদস্যবৃন্দের পরিচিতি পর্ব কো-অপ্ট সদস্য হিসেবে দৈনিক প্রতিদিনের বানীর সম্পাদক মোহাম্মদ শাবান মিয়াকে সর্বসম্মতিক্রমে মনোনীত করা হয়। কলেজের রাস্তার উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করা যোগ্য শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More